নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরিয়ে ফেলার পেছনে কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, জনমনে যেন কোনো বিভ্রান্তি না থাকে, সেজন্যই প্রতীকটি সরিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে জনমনে কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই বিভ্রান্তি দূর করতেই ওয়েবসাইট থেকে প্রতীকটি সাময়িকভাবে সরিয়ে রাখা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে, কমিশন মনে করেছে এটি সরানো যুক্তিসঙ্গত হবে।
তবে তিনি নিশ্চিত করেন, গেজেটে নৌকা প্রতীক এখনো বহাল রয়েছে। তিনি বলেন, শিডিউলে নৌকা থাকবে, তবে সেটি সংরক্ষিত থাকবে—অর্থাৎ অন্য কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবে না।
নৌকা প্রতীক সরিয়ে ফেলার পেছনে কোনো চাপ রয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এর সঙ্গে কোনো চাপ বা প্রভাব নেই। এটি একান্তই কমিশনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।
জামায়াতে ইসলামীর 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীক ওয়েবসাইটে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, গেজেট অনুযায়ী তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে, তবে অতিরিক্ত ব্যাখ্যামূলক তথ্য যোগ করা হয়নি। এটি পরে ঠিক করা হবে।
এ ছাড়া, শাপলা প্রতীক তফসিলে যুক্ত হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘কমিশন এখনো শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিলে তা জানানো হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে
সরানো হলো ‘নৌকা’ প্রতীক
ইসির ওয়েবসাইটে প্রতীকের তালিকায় দাঁড়িপাল্লা